এম এস রানাঃ
বহু আলোচনা-সমালোচনার পর মেয়র পদ ফিরে পেলেন মুক্তার আলী। রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার পরপর দুইবারের নির্বাচিত মেয়র মুক্তার আলী। গত কয়েক মাস আগে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পরবর্তিতে সে বিষয় ও অন্যান্য আরও কিছু বিষয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাকে আটক করা হয়। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে সকল কিছুর পরে আজ ২২ মার্চ মুক্তার আলীর উপর আওয়ামী লীগের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও আবার মেয়র পদ আজ ফিরে পেয়েছেন তিনি। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উল্লাস বিরাজ করছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মহামান্য হাইকোট বিভাগে মুক্তার আলীর রীট পিটিশনের আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপন জারির আদেশে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করেন।
এরই প্রেক্ষিতে, বহাল আদেশের পরিপত্র পাওয়ার আনন্দে মঙ্গলবার(২২ মার্চ) সকালে আড়ানী পৌর ভবনের সামনে হযরত আলহাজ মওলানা জহুরুল আলম বলখীর মাজারের পাশে ঐতিহাসিক তেঁতুল তলায় মুক্তার আলীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান পৌর সভার সকল কাউন্সিলর সহ স্থানীয় সুধীজন ও আড়ানী বাজারের ব্যবসায়ী মহল।
এ সময় সদ্য মেয়র পদ ফিরে পাওয়া মুক্তার আলী বলেন, আমি আপনাদের ভোটে পর-পর দুইবার মেয়র নির্বাচিত হওয়া-সহ দীর্ঘ ২১ বছর জনপ্রতিনিধিত্ব করছি। কিন্তু মাঝ খানে ভুল পথে চলেছি। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র । মানুষ ভুলের উর্ধে নয় ,আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। আমার চলার পথে নিজের ভুলের জন্য শাস্তি ভোগ করেছি। এ জন্য আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আপনারা সকলে দোয়া করবেন, আমি যেন আগামী চার বছর আপনাদের সাথে মিলে-মিশে আড়ানী পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে পারি।
এ সময় মেয়র মুক্তার আলীর সাথে উপস্থিত ছিলেন- আড়ানী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ শামিম আহাম্মেদ , আলহাজ আব্দুল আজিজ, নৌশাদ আলী ও পৌর সবার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম-সহ সকল কাউন্সিলর বৃন্দ ও বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ ।
উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বলেন, মুক্তার আলীকে পেয়ে আমরা অত্যান্ত খুশি ও আনন্দিত হয়েছি। মুক্তার আলী যে সত্যিকার অর্থেই একজন জন সেবক। তাঁর মত ব্যক্তি মেয়র পদ ফিরে পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আগামীতে মুক্তার আলীর সাথে আছি ও তাঁর সার্বিক সফলতা কামনা করছি।